গণবাণী ডট কম:
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ সবাই মিলে বাস্তবায়ন করব। দেশকে মাদক-জঙ্গী-সন্ত্রাস-দুর্নীতিমুক্ত করব। এই চারটি দানবের বিরুদ্ধে যদি ঐক্যবদ্ধ হই তাহলে দ্রুতই এই দেশ সোনার বাংলায় পরিণত হবে। তিনি শনিবার দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর চৌরাস্তায় চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ আয়োজিত ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৯’ এ বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, জঙ্গী, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, মাদক ব্যবসায়ী বাংলাদেশে দরকার নেই। আমার দেশ অনেক ভাল। এই চার শ্রেণীর লোক না থাকলে আমরা অনেক ভাল থাকব। এই চার শেণীর লোক সমাজে, দেশে দরকার নেই।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মাদক, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। এই চারটি দানবের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ যখনই কোন ন্যায়-ন্যায্য কারণে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তারা প্রতিবারই বিজয়ী হয়েছে। এই চারটি দানবের বিরুদ্ধেও আমাদের বিজয়ের কোন বিকল্প নাই।
এসময় তিনি সমবেত জনতার প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আসেন পরিবার-কমিউনিটি-সমাজ-রাষ্ট্র থেকে এদের পরিত্যাগ করি। আমরা এদের প্রতি পদে পদে প্রত্যাখান করতে চাই। এরা হচ্ছে সমাজের নোংড়া জীব। এই জীবদের নোংড়া জায়গায় থাকতে হবে। আমরা সবাই মিলে এদেরে নর্দমার গলিতে নিক্ষেপ করতে চাই।
ড. বেনজীর বলেন, আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ণ বিস্ময়কর। বিশ্ববাসী বলে বাংলাদেশের উন্নয়ণ ম্যাজিক। সেই উন্নয়ণ ম্যাজিকের ম্যাজিসিয়ান হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তার দেশে অবশ্যই মাদক-সন্ত্রাস থাকতে পারে না। তার নেতৃত্বে আমরা দুর্নীতিকে পরাজিত করব।
তিনি আরো বলেন, মাদক আমাদের দেশে তৈরি হয় না। তাহলে আমরা কেন খাচ্ছি? মায়নমার কোটি কোটি ইয়াবা তৈরি করে আমাদের দেশে পাঠায়। মায়নমারের লোকতো ইয়াবা খায় না। ভারতের সীমান্তে যেখানে ফেনসিডিলের কারখানা সে অঞ্চলে লোকতো ফেনসিডিল খায় না। তিনি যুব সমাজ ও মাদক সেবীদের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে আমরা কেন খাচ্ছি ? আমরা কেন আমাদের পরিবারকে-যুব সমাজকে ধংস করছি ?
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো: আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক। বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, শামসুন নাহার ভূইয়া এমপি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো: জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আখতারউজ্জামান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্যাহ খান প্রমুখ।
ইতোপূর্বে মাদক ছেড়ে অন্য পেশায় যাওয়ার জন্য গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করা ৩০ নারী-পুরুষকে অনুষ্ঠানে সেলাই মেশিন, চাকুরি কাগজপত্র ও মুদির দোকানের ব্যবসার জন্য নগদ অর্থ দেয়া হয়।