গণবাণী ডট কম:
নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার হওয়া আলোচিত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন মঙ্গলবার এই রিট দাখিল করেন।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মঙ্গলবার আবেদনটি শুনানির জন্য উত্থাপন করা হয়। আদালতে রিটকারী আইনজীবী সালেহ উদ্দিন নিজেই রিটের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।পরে আদালত রিট মামলাটির শুনানি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রেখেছেন।
এসময় আদালত রিটকারী আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি অভিযোগগুলো আগে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করুন। দুদক যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয় তখন হাইকোর্টে আসার সুযোগ রয়েছে। তখন আমরা বিষয়টি দেখব। এরপর আদালত রিট আবেদনটির শুনানি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) করেন।
রিট আবেদনে এসপি হারুনের ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুনীর্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।
গত ৩ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা ও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদকে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ অধিদপ্তরের টিআর শাখায় সংযুক্ত করা হয়েছে।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন থানার হোসেনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা- আবদুল হাসেম, মাতা-জহুরা খাতুন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করে ২০তম বিসিএসের মাধ্যমে ২০০১ সালে সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে পুলিশে যোগদান করেন।
তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশে থাকাকালীন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুকের উপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় আলোচিত হন। তারপর ২০১৪ সালের ২৪ অগাস্ট পুলিশ সুপার হিসেবে গাজীপুরে যোগদান করেন তিনি। গত বছর মে মাসে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলে বিএনপি। এছাড়া ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের তৃতীয় দফায় গাজীপুর সদর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়ায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই বছরের ২১ এপ্রিল এসপি হারুন অর রশিদকে গাজীপুর থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর প্রত্যাহারের আদেশ তুলে নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ওই বছরের ৩ মে গাজীপুরের পুলিশ সুপার পদে পুনর্বহাল করে। দুই দফা মিলিয়ে চার বছর গাজীপুরে ছিলেন তিনি। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।