গণবাণী ডট কম:
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান হামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৭শে নভেম্বর তারিখ ঠিক করেছে ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামী পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মো: মজিবুর রহমান এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
২০১৬ সালের পহেলা জুলাই রাতে হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করা হয়। ওই সময় জঙ্গিদের হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হয়। পরে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত হয় পাঁচ জঙ্গি। এরা হলেন, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন বিদেশি নাগরিক। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হামলা হলো ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে।
এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। ওই বছরের ২৬ নভেম্বর সকল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। এরপর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার। ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য দেয় মামলার বাদীসহ ১১৩ জন। সাক্ষ্যগ্রহণ, আত্মপক্ষ সমর্থন ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করে দেয় ট্রাইব্যুনাল।
মামলার তদন্তে ঘটনার সাথে মোট একুশ জন জড়িত ছিলো বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ এবং এর মধ্যে ঘটনার দিন ও পরে ১৩ জনই বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। নিহত ১৩ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলার সকল আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের মক্কেলদের খালাস চান। রায় ঘোষণার দিন ধার্যের বিষয়টি জানান পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম সারোয়ার খান।
মামলার আসামিরা হলো; জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ। এছাড়া হলি আর্টিজান হামলার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই অভিযানে তামিম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান নিহত হয়। পরে তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। খবর : বিবিসি ও অন্যান্য সূত্র।