গণবাণী ডটক
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বাংলাদেশে সব ধরণের গণপরিবহন বৃহস্পতিবার থেকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কোন সড়কে কোন রকম যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করবে না।
এই লকডাউন কার্যকর থাকবে পরবর্তী দশদিন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান।
তবে আজ ও কাল সীমিত আকারে চলবে যাত্রীবাহী বাস।
মঙ্গলবার দুপুরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপপ্রধান (তথ্য অফিসার) মো. আবু নাছের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, ঔষধ, জরুরি সেবা, জ্বালানি, পচনশীল পণ্য পরিবহণ-এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। সেই সঙ্গে পণ্যবাহী যানবাহনে কোনো যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না।
এদিকে, আজ থেকেই সারাদেশে নৌপথে লঞ্চ, ছোট নৌকাসহ সব ধরণের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে চলবে পণ্যবাহী নৌযান।
নৌ পরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে এ কথা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রেলওয়ে বিভাগের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, আজ থেকে সারা দেশে স্থানীয় কমিউটার মেইল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
আর আগামী ২৬ তারিখ থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হবে। তবে মালবাহী ট্রেন চলাচল চালু থাকবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। আজ মঙ্গলবার থেকে সব ধরণের ট্রেনের টিকেট বিক্রিও বন্ধ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনা ভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। এতে সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। এ ছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রায় ৯৯ হাজার মানুষ।
বাংলাদেশে এ ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিন দিন এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। সর্বশেষ হিসাবে দেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন তিনজন। সেলফ ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন প্রায় ১৮ হাজার মানুষ। তাদের অধিকাংশই বিদেশ ফেরত।