গণবাণী ডট কম:
ভারতের কলকাতায় সফররত বাংলাদেশী নাগরিকদের সব রকমের কন্স্যুলেট সহায়তা দেবে কলকাতা উপ-হাইকমিশন।
সাম্প্রতিক করোনা-ভাইরাসের ব্যাপক উপস্থিতি মোকাবেলায় ভারত সরকারের জারী করা লক-ডাউনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপে কলকাতায় সফররত বাংলাদেশী নাগরিকদের সব রকমের কন্স্যুলেট সহায়তার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একটি জরুরী নিয়ন্ত্রণ সেল খোলা হয়েছে।
উপ-হাই কমিশনার তৌফিক হাসানকে উদ্ধৃত করে বাসস জানায়, তৌফিক হাসান নিজেই এই কন্স্যুলেট সহায়তা কেন্দ্রের মনিটরিং করছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে ভ্রমণে আসা বাংলাদেশীরা যে কোন জরুরী প্রয়োজনে এই সহায়তা-কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারবেন। এ ব্যাপারে উপ-হাইকমিশন ইতোমধ্যে একটি সার্কুলার জারী করে এই আহবান জানিয়েছেন।
কলকাতা উপ-হাইকমিশনের মিনিস্টার ও দূতালয় প্রধান বি এম জামাল হোসেন স্বাক্ষরিত সার্কুলারে দূতাবাস সহায়তা কেন্দ্রে জরুরী য়োগাযোগের জন্য হোয়াটস-অ্যাপ সুবিধাসহ দু’টি হটলাইন নম্বর খোলা হয়েছে। হটলাইন নম্বর দু’টি হলো যথাক্রমে: +৯১-৯০৩৮২২৩৮৩২ ও +৯১-৭২৭৮৪১০৬৩৪। দিনরাত ২৪ ঘন্টা এই অনলাইন সেবা কেন্দ্রটি চালু থাকবে।
কলকাতায় সফররত বাংলাদেশের নাগরিকদের জরুরী পরিস্থিতিতে উপরোক্ত ফোন নম্বরসমূহে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সার্কুলারে কোভিড-১৯-র পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতায় সফররত সকল বাংলাদেশী নাগরিকদের যে কোন জনসমাগম এড়িয়ে চলা ছাড়াও ভারত সরকারের জারীকরা সকল নির্দেশ মেনে চলার পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
সহায়তা সেলের দায়িত্বে থাকা কন্স্যুলার মো: বশির উদ্দীন জানিয়েছেন, এই নিয়ন্ত্রণ সেলে প্রতিদিনি গড়ে ২০ থেকে ২৫ জন সশরীরে অথবা ফোনে তাদের নানা রকম অসুবিধার কথা জানাচ্ছেন। এই সহায়তা কেন্দ্র এরকম ৫০০ জনেরও বেশি লোককে তাদের সুবিধামত সহায়তা প্রদান করেছে।
এই সব সুবিধার মধ্যে বেশীর ভাগকেই ভারত সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে হরিদাসপুর সীমান্ত দিয়ে এ্যাম্বুলেন্সে করে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর্থিক সহায়তা ছাড়াও এখানে অনেকের থাকা-খাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বশীর বলেন, এই পরিস্থিতিতে ভারতের চেন্নাই থেকে চিকিৎসা শেষে অনেককেই কলকাতায় আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরে বিশেষ সহায়তায় তাদেরকে দেশে পাঠানো হয়।
এ ছাড়াও এখানে চিকিৎসা ও বেড়াতে এসে মারা যাওয়ায় এরকম অন্তত চারজনের মৃতদেহ বিশেষ ব্যবস্থায় বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।