গণবাণী ডট কম:
ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিনে সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে ঘরে থাকা জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত চাউল রাতের আধারে চুরি করে নেয়া হয়। বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এমন অভিযোগের কথা জানিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক সাগর চৌধুরী।
সাংবাদিক সাগর চৌধুরী স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল ডব্লিউ ৩৬০ ডিগ্রির সম্পাদক ও প্রকাশক।
মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতনকারী বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বড় মানিকা ইউপি চেয়ারম্যান জসিম হায়দারের ছেলে নাবিল। ক্ষোভ মেটাতে ওই সাংবাদিককে মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারী অপবাদ দিয়ে পেটানো হয়। পরে নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর ওই সাংবাদিকের বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে সাগর চৌধুরী বলেন, ’আজ সকাল ৬টায় নাবিল আমাকে ফোন করে বলে আপনার সঙ্গে জরুরি কথা আছে, একটু আসেন। তখন আমি বলি, এত সকালে আমি কীভাবে আসবো। এরপরও আমি সেখানে গেলে, সিনেমা হলের দোতলায় আমাকে ডেকে নেয় সে। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। তখন আমি দোতলা থেকে নিচের দিকে নেমে আসতে চাই। তখন সে পেছন থেকে আমার কলার চেপে ধরে এবং আঘাত করে। আমার চোখে আঘাত করে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার জন্য। মাথার অনেক জায়গায় আঘাত করে। মাথাটা ফুলে গেছে। আমাকে মেরে ফেলার জন্য দুই হাত দিয়ে গলা চেপে ধরে। এছাড়া শরীরের অনেক জায়গায় আঘাত করে সে।’
এ ঘটনায় ভোলার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, অনলাইন এডিটরস কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির পক্ষে আবুল কালাম আজাদ ও মাহমুদ হোসেন মোয়াজ্জেম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সেইসঙ্গে হামলাকারী নাবিলকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার সময় কর্মহীন হয়ে ঘরে থাকা জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত চাল রাতের আঁধারে চুরি করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে নাবিলের বিরুদ্ধে। পরে বিশ্বস্ত সূত্রে ঘটনাটি নিশ্চিত হয়ে এর তথ্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাংবাদিক সাগর চৌধুরী অবহিত করেন। এ খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয় বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জসিম হায়দারের ছেলে নাবিল।
এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তার ছেলেকে পাওয়া যায়নি।
বোরাহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, ‘সাংবাদিক সাগর চৌধুরী থানায় এসেছিলেন কিন্তু অভিযোগ দায়ের করেননি। বলেছেন চিকিৎসার জন্য বোরাহানউদ্দিন হাসপাতালে যাচ্ছেন। সেখান থেকে আর থানায় আসেননি।’