গণবাণী ডটকম: বকেয়া পাওনা আদায়ের জন্য বিটিআরসি গ্রামীণ ফোনের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ সীমিত করার পদক্ষেপকে ‘অযৌক্তিক ও বেআইনি’ হিসেবে বর্ণনা করে সালিশের মাধ্যমে নিরীক্ষা দাবির ‘গঠনমূলক’ নিষ্পত্তি চেয়েছে দেশের সবচেয়ে বেশি গ্রাহকের মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন।
তবে টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি তাদের অবস্থানে অনড় থাকার কথা জানিয়ে বলেছে, আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে সালিশের (আরবিট্রেশন) কোনো সুযোগ নেই। পাওনা আদায় না হওয়া পর্যন্ত ব্যান্ডইউথ সীমিতই থাকবে।
বিটিআরসির দাবি, গ্রামীণ ফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং আরেক মোবাইল ফোন অপারেটর রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে তাদের।
তাগাদা দেওয়ার পরও ওই টাকা পরিশোধ না করার যুক্তি দেখিয়ে গত ৪ জুলাই গ্রামীণফোনের ব্যান্ডইউথ ক্যাপাসিটি ৩০ শতাংশ এবং রবির ১৫ শতাংশ সীমিত করতে ইন্টারনেট গেইটেওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেয় বিটিআরসি।
রোববার হোটেল সোনারগাঁয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানান গ্রামীণ ফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলি।
তিনি বলেন, বিটিআরসির নির্দেশনাটি এমনভাবে দেওয়া হয়েছে, যাতে নেটওয়ার্কের অধীনে থাকা গ্রাহকদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, গ্রামীণফোনের ওপর ‘চাপ’ তৈরি হয়।
“এ নির্দেশনার ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে স্থানীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং সংশ্লিষ্ট আইআইজি অপারেটরদের ওপর। কারণ নির্দেশনার ফলে রাজস্ব আয় কমার পাশাপাশি ব্যবসায়িক সুযোগ হারাবে প্রতিষ্ঠানগুলো, যদিও পুরো বিষয়টির ওপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।”
নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন ভূমিকা ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ মন্তব্য করে গ্রামীণফোনের সিইও বলেন, “এ নির্দেশনা বাংলাদেশের মানুষ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করবে। আমরা বিটিআরসিকে এ নির্দেশনা তুলে নেওয়ার অনুরোধ করছি এবং সেইসাথে সালিশ আইন ২০০১-এর অধীনে অমীমাংসিত অডিট দাবির নিষ্পত্তিতে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করছি।“
অডিট দাবির বিষয়ে নিষ্পত্তির জন্য গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে গত ২৩ জুন বিটিআরসিকে একটি সালিশ নোটিস পাঠানো হয়েছে জানিয় ফোলি বলেন, “নোটিসের বিষয়ে এখন পর্যন্ত নীরব ভূমিকা পালন করছে বিটিআরসি।”
ব্যান্ডইউথ সীমিত করার নির্দেশের বিরুদ্ধে গ্রামীণফোন আদালতে যাবে কি না- এই প্রশ্নে মাইকেল ফোলি বলেন, “অমীমাংসিত পাওনার বিষয়ে আমরা আদালত যেতে চাই না, আরবিট্রেশনের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করতে চাই।”