গণবাণী ডট কম:
লাদাখ সীমান্তের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীনের চলমান উত্তেজনা কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। অবশেষে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় মুখোমুখি অবস্থান থেকে কিছুটা পিছিয়ে গেছে ভারত এবং চীনের সেনা।
রবিবার ভারতীয় সেনার বরাত এনডিটিভি জানিয়েছে, গালওয়ান উপত্যকার আশপাশের এলাকা থেকে সেনা সদস্যদের অন্তত এক কিলোমিটার পিছিয়ে নেয়া হয়েছে। সরানো হয়েছে কিছু অস্থায়ী স্থাপনাও।
আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, উত্তেজনা কমাতে ‘বাফার জোন’ তৈরির উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে দুই দেশ। আপাতত গালওয়ানেই দুই দেশের সেনা পিছনোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গোগরা হট স্প্রিং এরিয়াতেও সেনা পেছানোর কাজ শুরু হয়েছে। তবে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের উত্তরের ‘ফিঙ্গার এরিয়া’য় পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।
ভারতীয় সেনার একটি সূত্রের উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, গালওয়ানে প্রায় এক-দু’কিলোমিটার পিছিয়েছে চীন সেনারা। তবে গালওয়ান নদীর তীরে এখনও পিপলস লিবারেশন আর্মির সাঁজোয়া গাড়ি রয়েছে। ভারতীয় সেনা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরে জানানো হয়েছে, গালওয়ান উপত্যকায় মোতায়েন ভারতীয় বাহিনীও আগের অবস্থান থেকে কিছুটা পিছিয়ে এসেছে। তবে গালওয়ান ও গোগরা হট স্প্রিং এলাকায় প্রক্রিয়া কার্যকর হলেও প্যাংগং লেকের উত্তরে চীন সেনা সরবে কি না, সে বিষয়ে সন্দিহান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞেরা। কারণ সেখানে ফিঙ্গার এরিয়া ৪ থেকে ৮-এর মধ্যে একাধিক স্থানে রাস্তা, কালভার্ট, কংক্রিটের বাঙ্কার তৈরি করে স্থায়ী ঘাঁটি বানিয়ে ফেলেছে চীন। ফলে এলএসি সংলগ্ন এলাকায় টহলদারিতে যেতে পারছে না ভারতীয় সেনারা।
এদিকে খবরে বলা হয়, উত্তর লাদাখের দৌলত বেগ ওল্ডি বিমান বাহিনী ঘাঁটির অদূরে দেপাসাং এলাকায় এলএসি পেরিয়ে ঢুকে আসা চীন বাহিনী এখনও পিছু হটেনি।
গত মাসে এই এলাকাতেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০ ভারতীয় সেনা, আহত হন অন্তত ৭৬ জন। চীনের কতজন হতাহত হয়েছিলেন তা নিশ্চিত করেনি বেইজিং।