গণবাণী ডট কম:
শিল্প শহর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ১৭ জন মৃত্যুবরণ করলেন। অগ্নিগদ্ধ ৩৭ জনকে গেল রাতেই ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ আরো ২০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের সকলের শরীরের ৩০ ভাগের বেশী পুড়েগেছে। অনেকের স্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তাদের অবস্থা শংকামুক্ত নয় বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের দমকল বাহিনীর উপ পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তারা সন্দেহ করছেন। তিনি জানান, মসজিদটির মেঝের নীচ দিয়ে গ্যাসের পাইপ গেছে। সেই পাইপে ফুটো হয়ে মসজিদের ভেতরে হয়তো অনেক গ্যাস জমে ছিল। এই অবস্থায় কেউ ভেতরে ইলেকট্রিক সুইচ অন করার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটেছে। সেখান থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে গেছে। তারপর মসজিদের এয়ার কন্ডিশনারগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মসজিদের মেঝের নীচ দিয়ে কিভাবে গ্যাসের পাইপ গেল, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। এগুলো তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় অনেক মানুষ জানিয়েছেন, মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা প্রায়শই গ্যাসের গন্ধ পেতেন। দমকল কর্মীরা গিয়ে মসজিদের মেঝের নীচ দিয়ে যাওয়া গ্যাস লাইন থেকে গ্যাস বেরুতে দেখেন। তারা গ্যাস লাইনটি বন্ধ করে দেন।
যদিও গেল রাতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল, মসজিদের ভিতরে এসির বিস্ফোরণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা ডাঃ সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেছেন, হাসপাতালে সবারই সংকটজনক অবস্থা।কেউ আশংকামুক্ত নয়। বেশিরভাগ রোগীর কমপক্ষে ৩০ শতাংশ পুড়েছে। অনেকের তারও বেশি। বেশিরভাগেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।
এদিকেএ ঘটনা তদন্তের জন্য আলাদা করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাস ও জেলা প্রশাসন।