গণবাণী ডট কম:
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনার জের ধরে ক্ষমতাসীন দলের ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পুরনো ঢাকার বাড়িতে অভিযান চালায় র্যা ব। অভিযানে হাজী সেলিমের দ্বিতীয় ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী দু’জনকে আটক করা হয়।
পরে বিদেশি মদ রাখার দায়ে র্যা বের ভ্রাম্যমাণ আদালত ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী দু’জনের প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে। অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ও মদ রাখার দায়ে এই দণ্ড দেওয়া হয়।
বাড়িটিতে প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে অভিযানের পর র্যা বের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, অভিযানে অবৈধ ওয়াকিটকি এবং বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। এ কারণে ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে আটক করা হয় এবং র্যা বের সাথে থাকা আদালত দু’জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়।
অবৈধ ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহার করার দায়ে ৬ মাস ও মদ রাখার জন্য আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয় র্যা বের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ইরফানের দেহরক্ষী জাহিদকেও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আশিক বিল্লাহ বলেন, এরফান সেলিমের বাসা থেকে ৫ থেকে ৬ লিটার বিদেশি মদ, ৩৮ থেকে ৪০টি ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তার দেহরক্ষী জাহিদের কাছে ৪০০ পিস ইয়াবা ও বিদেশি অস্ত্র পাওয়া যায়।
র্যা বের মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ্ জানিয়েছেন, এই অভিযানে দু’টি অবৈধ অস্ত্র, গুলি, হাতকড়া এবং বাড়ির পাশে একটি টর্চার সেলও পাওয়া গেছে।
মারধরের শিকার লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান নামে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা সোমবার সকালে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামীদের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ইরফান সেলিমের নাম।
ধানমন্ডি থানার তদন্ত কর্মকর্তা আশফাক রাজীব হাসান বলছেন, মামলার এজাহারে আসামীদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে পথরোধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর, জখম ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা আসামীদের মধ্যে ইরফান সেলিম ছাড়াও এবি সিদ্দিক দিপু, মোহাম্মদ জাহিদ এবং গাড়ি চালক মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করা আছে। এছাড়া ২/৩ জন অজ্ঞাতনামা আসামীর কথাও বলা আছে।
গাড়ি চালক মিজানুর রহমানকে আগেই আটক করা হয়েছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ। খবর : বিবিসি ও অন্যান্য।