গণবাণী ডট কম:
গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন সার্ডি এলাকায় গত ৫ অক্টোবর রাতে অটোচালক হত্যার ৮ দিনের মাথায় হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারের পর আসামীরা জিগ্যাসাবাদে জানায়, অটোরিকশা ছিনতাইকালে আসামীদের ছিনতাইকারীদের চিনে ফেলায় এবং বাধা দেওয়ায় বুকে ও পিঠে একাধিকবার ধারালো ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় চালককে।
নিহত অটো চালকের নাম নুর ইসলাম (৪৫)। তিনি শেরপুরের জেলার সদর উপজেলার বাকারকান্দা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন নলজানী এলাকার মোঃ আল-আমিনের ছেলে মোঃ রমজান আলী (২২), একই থানাধীন চান্দনা গ্রামের মোঃ বাচন আলীর ছেলে মোঃ শরীফ (২৫) ও শেরপুরের বকশীগঞ্জ থানার জাকনিপুর ডাকীপাড়া গ্রামের মোঃ আব্দুল হালিমের ছেলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন দেলু (৪৫)।
শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান।
তিনি আরো জানান, নিহত নূর ইসলাম গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে অটোরিকশা চালাতেন এবং গ্যারেজ পরিচালনা করতেন। গত ৫ অক্টোবর রাতে গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন তিনি। পরদিন ভোরে গাজীপুর মহানগরীর সার্ডি রোডে নাটা অফিসের আগে রাস্তার ওপর নূর ইসলামকে ছিনতাইকারীরা খুন করে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে নূর ইসলামের ভাগিনা শাহীন মিয়া বাসন থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ উপ পুলিশ কমিশনার আরও জানান, পুলিশ সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামি শরীফকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে। পরে তাঁর দেয়া তথ্য মতে সহযোগী আসামী রমজান আলী ও চোরাই অটোরিকশা ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেলুকে গাজীপুরের চান্দনা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া দেলোয়ারের ভাঙাড়ি দোকান থেকে অটোরিকশার অংশবিশেষ উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দেওয়া তথ্যের বরাতে আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান আরও জানান, নিহত নূর ইসলাম অটোরিকশা ছিনতাই করে নেওয়ার সময় ছিনতাইকারীদের চিনে ফেলে এবং বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছিনতাইকারীরা নূর ইসলামের বুকে ও পিঠে একাধিকবার ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।