গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খণ্ড (প্রশিকা মোড়) এলাকার তিনতলা ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের ঝলসানো ও গলাকাটা মরদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে ৮/৯ দিন আগে হত্যা করে মরদেহটি ঘরের ভিতর তোষক দিয়ে পেচিয়ে বস্তাবন্দি করে রাখা হয়েছে। একারণে পচে ও গলে যাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পরিচয় জানাতে পারেনি।
ভবনে মালিকের ছেলে মজনু সাংবাদিকদের জানান, প্রায় এক মাস আগে তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার পূর্ব পাশের একটি ফ্ল্যাট সামিরা ও আব্দুর মজিদ নামে ভাড়া নেয়। ভাড়া নেয়ার পর তারা দু’জনই বসবাস করে আসছিল। চার-পাঁচদিন যাবৎ ঘরের দরজা তালাবদ্ধ থাকায় সোমবার বিকেলে মইয়ের সাহায্যে বারান্দা দিয়ে ফ্ল্যাটের ভেতর তোষকে মোড়ানো মরদেহ সদৃশ্য বস্তু দেখে ও পচা গন্ধ বের হলে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে ভেতর ঢোকার চেষ্টা করে। পুলিশ ভেতরে না ঢুকে ঢাকার ক্রাইম সিন ইউনিট ও গাজীপুর সিআইডিকে খবর দেয়া হয়। পরে গাজীপুর থেকে সিআইডি পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে, ঢাকা থেকে আমিনুল রহমান খানের নেতৃত্বে ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি দল, র্যাবের ডিএডি মোহাম্মদ রফিক উদ্দিনের নেতৃত্বে একাধিক টিম ঘটনাস্থলে এসে তোষকে মোড়ানো গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।
ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক আমিনুল রহমান খান সাংবিাদিকদের জানান, ফ্ল্যাটটির শয়নকক্ষে তোষকে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তোষক খুলে দুটি চটের বস্তায় ভরা ও রশি দিয়ে বাধা অবস্থায় মরদেহটি পাওয়া যায়। মরদেহটির সমস্ত শরীর ঝলসানো এবং গলা অর্ধেকেরও বেশি অংশ কাটা। তিনি জানান, মরদেহটিতে পোকা ধরা ও ঝলসানো থাকায় শনাক্ত করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ৮ থেকে ১০ দিন আগে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তবে কি দিয়ে মরদেহটি ঝলসানো হয়েছে সেটির আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, তা পরীক্ষার করে নিশ্চিত করে বলা যাবে।
পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।