গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের প্রায়ত সংসদ সদস্য ও প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। মরহুমের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সকল আনুষ্ঠানিকতা করোনার কারনে স্থগিত করা হয়েছে।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি’র পুত্র যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি জানিয়েছেন, আমার পিতা শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি’র শাহাদাত বার্ষিকীর সকল ধরনের আনুষ্ঠানিকতা করোনা ভাইরাসের কারনে স্থগিত করা হয়েছে। আমি সকলকে কবরস্থানে না এসে বাসায় থেকে আমার পিতার জন্য দোয়া করতে বিনীত অনুরোধ করছি।
তবে টঙ্গী-গাজীপুর-২ আসনের সর্বত্র সকাল থেকে দিনব্যাপী দুস্থ-গরিব-দুঃখী ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে খাদ্য সহায়তার উপহার সামগ্রীর প্যাকেট বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খাদ্য সহায়তা উপহার সামগ্রীর ১০ কেজি প্যাকেটের মধ্যে রয়েছে, চাল, ডাল, আলু, তেল, পেয়াজ ও সাবান।
প্রায় ১০ হাজার পরিবারের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের মাধ্যমে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত পূর্বক পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গ্রামের বাড়ি হায়দ্রাবাদে মরহুমের মাজার প্রাঙ্গনে ৭ জন কোরানে হাফেজের সমন্বয়ে শুধু কোরানখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী করোনা সময়ে মরহুমের মাজার প্রাঙ্গনে না এসে দেশবাসীকে তাঁর পিতার জন্য ঘরে বসে দোয়া করার আবেদন জানিয়েছেন।
আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সস্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৪ সালের ৭ মে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মদদ পুষ্ট একদল সন্ত্রাসী টঙ্গীস্থ নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রকাশ্যে দিবালোকে আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করে। পরে ২০০৫ সালের ১৬ মে এই মামলার রায়ে ২২ জনের ফাঁসি ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ হয়। ২০১৬ সালের ১৫ জুন হাইকোর্ট ডিভিশন আসামীদের ডেথ রেফারেন্স, জেল আপীল ও আবেদনের শুনাণি শেষে ৬ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল এবং ৮ জনের যাবজ্জীবন বহাল রেখে ১১ জনকে খালাস দেন। বিচার চলাকালে ২জন আসামী মারা যায়। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত একজন পলাতক আসামীর আপিল না থাকায় তার ব্যাপারে আদালত পূর্বের রায় বহাল রাখেন।