গণবাণী ডট কম:
২০১১ সালের অক্টোবরে নেটো-সমর্থিত বাহিনী লিবিয়ার দীর্ঘ দিনের শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাতের পর থেকে দেশটিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে সে বিশৃঙ্খলা এখনো অব্যাহত আছে।
গাদ্দাফি জমানায় তেল সমৃদ্ধ আফ্রিকার এই দেশটিতে একসময় জীবনযাত্রার মান অনেক উঁচু ছিল। দেশটিতে বিনামূল্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল।কিন্তু মি. গাদ্দাফির পতনের পর থেকে এখন ত্রিপলিতে বিভিন্ন বিবদমান গ্রুপের মধ্যে সংঘাত লেগেই আছে।
লিবিয়াতে ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি সরকার রয়েছে। এ সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ-আল-সারাজ। কিন্তু দেশের অধিকাংশ জায়গায় এ সরকারের কোন কর্তৃত্ব নেই। কিন্তু, লিবিয়ার অধিকাংশ জায়গার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির।
১৯৬৯ সালে কর্নেল গাদ্দাফিকে ক্ষমতা দখলের জন্য সহায়তা করেন খলিফা হাফতার। এরপর ১৯৮০’র দশকে মি. গাদ্দাফির সাথে মতবিরোধের জেরে তিনি দেশের বাইরে নির্বাসনে যান। গাদ্দাফির বিরুদ্ধে যখন গণঅভ্যুত্থান শুরু হয় তখন মি. হাফতার আবার লিবিয়ায় ফিরে আসেন।
লিবিয়াতে এখন অস্ত্রের শক্তিই হচ্ছে বড় শক্তি। অনেক নিরাপত্তা বিশ্লেষক লিবিয়াকে অস্ত্রের বাজার হিসেবে বর্ণনা করেন।