গণবাণী ডট কম:
বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে এক নারীকে উত্ত্যক্ত করত এক যুবক। অতিষ্ঠ হয়ে উত্ত্যক্ততার শিকার ওই নারী তাঁর স্বজনদের নিয়ে যুবকটির বাড়ি গিয়ে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করেন। এতে ওই যুবক ফের ফোন করে তাঁকে (নারী) সুযোগমতো পেলে ‘ক্ষতি’ করার হুমকি দিয়েছিল। হুমকি দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই পথে একা পেয়ে ওই নারীকে তুলে নিয়ে যায় ওই যুবকসহ তার পাঁচ সহযোগী। বনের ভেতর নিয়ে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে তাঁকে।
গত রবিবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের লাকচতল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী (৩০) পাশের কাওরাইদ ইউনিয়নের এক কৃষকের মেয়ে।
অভিযুক্ত ধর্ষকরা হলেন ওই গ্রামের আহমদ ওরফে ফাড্ডা মোড়লের ছেলে মাসুদ (৩০), তার বন্ধু রহমত আলীর ছেলে আরফান (৩০), মৃত সুরুজ আলীর ছেলে দুলালসহ (৩২) অজ্ঞাতপরিচয় আরো তিন সহযোগী।
এদিকে গতকাল সোমবার দুপুরে মাওনা উত্তরপাড়া এলাকায় পোশাক কারখানার এক কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ঘটনার পর তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। একইসঙ্গে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে শাওন নামে অভিযুক্ত একজনকে আটক করে। সুমন নামে অভিযুক্ত আরো একজনকে আটকের জন্য অভিযান চলছিল।
তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের পর ওই নারীর কাছে থাকা নগদ নয় হাজার টাকা, গলার স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ফোনসেট নিয়ে যায় ধর্ষণ ঘটনায় অভিযুক্তরা। ওই সময় তারা হুমকি দেয়, ঘটনাটি পুলিশ বা কাউকে জানালে তাঁকে কিংবা তাঁর পরিবারের যেকোনো সদস্যকে মেরে ফেলবে।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার দুপুরে শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার ওই নারী। গতকাল রাত পৌনে দশটার দিকে অভিযুক্তদের একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ওই নারী জানায়, উচ্ছৃঙ্খল হিসেবে গ্রামজুড়ে কুখ্যাতি রয়েছে মাসুদের। গত রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বরমী বাজার থেকে কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে লাকচতল গ্রামের হাসান মাস্টারের বাড়ির দক্ষিণ পাশে সড়কে পৌঁছামাত্র মাসুদ তার পাঁচ সহযোগীসহ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। পাশে বনের ভেতর নিয়ে তারা তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আটকের জন্য অভিযান চলছে। এরই মধ্যে একজন ধরা পড়েছে।
এদিকে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মোহসিন হোসাইন জানান, বাসা ভাড়া নিতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন পোশাক কারখানার এক কর্মী (২৩)। নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী গতকাল দুপুরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে।
এর আগে গত শুক্রবার শ্রীপুর উপজেলার বিদাই গ্রামে পোশাক কারখানার দুই কর্মী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ওই ঘটনায় জড়িত পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে দুইজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।