শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে চলন্ত বাসে কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দুই পরিবহন শ্রমিক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যপারে কিশোরী থানায় বাদী হয়ে তিনজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন।
শনিবার ১১টার দিকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন, দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়িয়া থানার আমড়া গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে জুয়েল (২৮) ও নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার চন্দনকান্দি গ্রামের আলতু মিয়ার ছেলে আশিক (২২)। আটককৃত উভয়েই পরিবহনের চালকের সহকারী। তবে পরিবহনের চালক হারুন মিয়া পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। এসময় চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের একটি বাস (ঢাকামেট্রো-জ-১৪-০৪৯৩) জব্দ করা হয়।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক জানান, কিশোরীটি ঢাকার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী, সে বিনোদনমূলক শর্টফিল্ম ও ছোট নাটিকাসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠানের সাথে জড়িত। গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে একটি বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের জন্য শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুর থেকে মাওনা পর্যন্ত চলাচলকারী চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের একটি লোকাল বাসে উঠে। কিছুদুর আসার পর বাসে নিয়োজিত পরিবহন শ্রমিকরা অন্যান্য যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দেয়। এসময় পরিবহনের চালক জানায় তাদের সমস্যা থাকলেও কিশোরী যাত্রীকে গন্তব্যে পৌছে দিবেন। পরে বাস নিয়ে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এই কিশোরী যাত্রীকে গন্তব্যে না নামিয়ে মাওনা চৌরাস্তর উড়াল সেতুর উপর বাসের ভেতর কিশোরীকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় পরবিহন শ্রমিকরা। তবে কিশোরীটি আত্ম রক্ষার্থে পা দিয়ে বাসের জানালার কাচ ভেঙ্গে ফেলে এবং চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। স্থানীয় পথচারীরা এ ঘটনা দেখতে পেয়ে মাওনা হাইওয়ে পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে ২ পরিবহন শ্রমিককে আটক করেন। এসময় গাড়ীর চালক পালিয়ে যায়। পরে শ্রীপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করা হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিতা কিশোরী বাদী হয়ে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় রাতেই মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত ২ জনকে গ্রেফতার করা গেলেও চালক পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।