গণবাণী ডট কম:
রাজধানীর উত্তরা র্যাব-১ অভিযান চালিয়ে ডিএমপির তুরাগ থানা এলাকা হতে মোঃ ইদ্রিস আলী সরদার নামের এক আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ মাদক কারবারী চক্রের সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এসময় তার কাছ থেকে এক হাজার ৬৮০ বোতল ফেন্সিডিল, দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত কার্গো ট্রাকটি জব্দ করা হয়। ইদ্রিস আলী খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার লক্ষীখোলা গ্রামের মো: মতলব সরদারের ছেলে। সে ঢাকার আশুলিয়ার জিরাবো এলাকা ভাড়া বাসায় থেকে মাদকের ব্যবসা করছিল।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ সারওয়ার-বিন-কাশেম প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে তথ্য পায় দিনাজপুর জেলা হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিলের চালানসহ একটি কার্গো ট্রাক আশুলিয়া হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর একটি অভিযানিক দল ডিএমপির তুরাগ থানাধীন টঙ্গী হতে আশুলিয়াগামী সড়কের পাশের্ সাহেব আলী মাদ্রাসা সংলগ্ন গ্রীনল্যান্ড হসপিটালের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর শনিবার সন্ধ্যার দিকে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় আসামী মোঃ ইদ্রিস আলী সরদারকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ধৃত আসামী ও কার্গো ট্রাকটি তল্লাশী করে ১ হাজার ৬৮০ বোতল ফেন্সিডিল, ২ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত কার্গো ট্রাকটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে একটি আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সক্রিয় সদস্য। পলাতক কতক আসামীসহ মোঃ আমিনুল ইসলাম (৩৫), মোঃ আব্দুর রহমান (৪২), মোঃ জুয়েল (৪৫) সহ তারা দিনাজপুর থেকে ফেনসিডিলের চালানটি কার্গো ট্রাকে করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে আসছিল। কিন্তু র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বর্ণিত পলাতক আসামী তিনজন পালিয়ে যায়। পলাতক আসামী আমিনুল এই ফেন্সিডিল ব্যবসার গড ফাদার। আসামীগণ কার্গো ট্রাকে করে বিভিন্ন ধরনের ফার্নিচার সহ অন্যান্য সামগ্রী বহনের অন্তঃরালে ফেন্সিডিল এক জেলা হতে অন্য জেলায় পাচার করে থাকে। এই ফেন্সিডিলের চালানটি পলাতক আসামী মোঃ আব্দুর রহমান (৪২) দিনাজপুর জেলা হতে এনে তুরাগ থানাধীন বর্ণিত এলাকায় আমিনুল এর নিকট পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে। ধৃত আসামী মোঃ ইদ্রিস আলী সরদার (২৩)’কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে পলাতক আসামী মোঃ আমিনুল ইসলাম (৩৫), এর মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ে জড়িত হয়। সে উক্ত কার্গো ট্রাকটির হেলপারের পাশাপাশি মাদকদ্রব্য পরিবহনে তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে। সে ইতিপূর্বে তার সাথে ৫/৬ টি ফেন্সিডিলের চালান রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলাসমূহে এনেছে বলে স্বীকার করে। চালান প্রতি মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে ১৫/২০ হাজার টাকা দিত বলে জানায়।