গণবাণী ডট কম:
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, দেশে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন দুই রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (১৪মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, ইতালি ও জার্মানি থেকে আসা দুই বাংলাদেশির দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিন জন রোগী শনাক্তের ঘোষণা দিয়েছিল সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তাদের মধ্যে দুজন সম্প্রতি ইতালি থেকে দেশে ফেরেন। এ তিনজনের মধ্যে দুজন সুস্থ হয়ে গেছেন বলে শনিবার জানান আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সাব্রিনা ফ্লোরা।
শনিবার (১৪মার্চ) রাত সাড়ে ৯ টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, রবিবার মধ্যরাত থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত ইংল্যান্ড বাদে ইউরোপের সব দেশ থেকে বাংলাদেশে যাত্রী প্রবেশ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভারত, সৌদি আরবের মত অনেক দেশই তাদের দেশে বিদেশ থেকে যাত্রী প্রবেশ স্থগিত করেছে।”
“ইংল্যান্ড বাদে ইউরোপের সব দেশ এবং যেসব দেশে করোনভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অস্বাভাবিকভাবে বেশি সেসকল দেশ থেকে সব যাত্রী বাংলাদেশে আসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।”
তিনি বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন ইউরোপকে করোনাভাইরাসের এপিসেন্টার হিসেবে চিহ্নিত করায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।”
তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অস্বাভাবিক বেশি থাকার কারণে ইউরোপের বাইরে অন্যান্য মহাদেশের কোনো নির্দিষ্ট দেশকে চিহ্নিত করা হয়েছে কিনা, সেবিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
কিন্তু সেসব দেশ থেকে আসা বিদেশী যাত্রীর পাশাপাশি বাংলাদেশি নাগরিকদেরও ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতেই হবে বলে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রী।
রোববার রাত থেকে শুরু করে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণের পর এবিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান পররাষ্টমন্ত্রী আবদুল মোমেন।
এছাড়া যেসব দেশ বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে তাদের দেশে যাওয়া বাতিল করেছে, সেসব দেশের নাগরিকদেরও বাংলাদেশে প্রবেশ স্বল্পকালীন সময়ের জন্য স্থগিত করা হবে বলে জানান তিনি।
পররাষ্টমন্ত্রী আরো বলেন, “আমার অনেকগুলো দেশকে অন অ্যারাইভাল ভিসা দিয়ে থাকি। আগামী দু্ সপ্তাহের জন্য সেসব দেশের অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা স্থগিত করা হবে।”
এসব সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে দূতাবাসগুলোকে জানানো হয়েছে এবং এর বাস্তবায়নের স্বার্থে নীতিমালা নির্ধারণ করার কাজ চলছে।