গণবাণী ডট কম:
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ হয়েছে বুধবার। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর গুলশানের বাস ভবন ফিরোজায় যাওয়ার সময় নেতা কর্মীদের অত্যধিক ভিড় হওয়ায় তাকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুকি এড়াতে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত জিকিৎসকরা তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
খালেদা জিয়ার আগের চিকিৎসার সঙ্গে মিল রেখে কিছুটা পরিবর্তন করে নতুন চিকিৎসা চলছে। তার শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি, তবে মানসিকভাবে আগের তুলনায় ভালো আছেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, তার শরীরের অবস্থা ভালো না। এখনো দাঁড়াতে বা হাঁটতে পারছেন না। এক কথায়, তার শরীরের অবস্থা আগের মতোই আছে। তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। তবে মানসিক অবস্থা আগের চেয়ে একটু ভালো। তার চিকিৎসা চলছে।
তিনি আরো বলেন, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে পরে অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার পক্ষে এখন কোথাও মুভ করা সম্ভব নয়। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘স্টে অ্যাট হোম’ থাকবেন বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকেরা। খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্য বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডা. জোবায়েদা রহমানের তত্ত্বাবধানে ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে। তার আগের চিকিৎসার সঙ্গে মিল রেখে কিছুটা পরিবর্তন করে নতুন চিকিৎসা হচ্ছে। বর্তমানে সামগ্রিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে আমরা তার চিকিৎসা শুরু করেছি। ৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া রিউম্যাটিজ আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের নানা রোগে আক্রান্ত।
এদিকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার কারণে মুক্তির পর দলের অনেক নেতাই খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। এ অবস্থায় কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হলে সীমিত পরিসরে তার সঙ্গে দেখা করতে চান দলের সিনিয়র নেতারা। যদিও তারা বলছেন, এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে খালেদা জিয়ার ইচ্ছার ওপর।
করোনা পরিস্থিতি ও সকরারের সাথে পারিবারীক যোগাযোগের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে খলেদা জিয়ার সাজা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে সরকার। তারপর গত ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হয়।বর্তমানে তিনি রাজধানীর গুলশানে তার বাস ভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন।