নিজস্ব প্রতিবেদক,গণবাণী ডট কম, কাপাসিয়া:
গাজীপুরের কাপাসিয়ার দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহায়তায় নিজের বাল্য বিয়ে বন্ধ বন্ধ করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শুধু তাই নয়, পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বরপক্ষ ও কনে পক্ষকে জরিমানা করেছেন।
গাজীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে কাপাসিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে ফোন করেন। ফোনে দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানায়, তাকে জোর করে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সে আরও পড়ালেখা করতে চায়। দশম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীর বয়স যেখানে মাত্র ১৫ বছর, সেখানে ৩০ বছরের বর একজন এমবিবিএস ডাক্তার।
ফোন পাওয়ার পর ৪ জুন কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা: ইসমত আরা সরাসরি বিয়ের আসরে উপস্থিত হয়ে ছাত্রীর অভিযোগের সত্যতা পান এবং বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন।
পরে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে বর পক্ষকে ৫০ হাজার টাকা ও কনের পিতাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
সাহসী ও প্রতিবাদী এই ছাত্রীর বাড়ি উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের কীর্তনীয়া গ্রামে।
আর, বরের নাম আশরাফুল ইসলাম, তিনি এমবিবিএস ডাক্তার। তিনি পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও উপজেলার চাঙ্গাপুর গ্রামের মো আবদুল্লাহর ছেলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ ইসমত আরা সাংবাদিকদের জানান, ছাত্রী নিজে ফোন করে তার বাল্যবিবাহ হচ্ছে বলে জানায়। সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। পরে পাত্র পক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও কনের বাবাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে তাদেরকে এ শাস্তি প্রদান করা হয়। এছাড়াও স্কুলছাত্রী প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর তাকে বিয়ে দিতে হবে মর্মে মোচলেখা আদায় করা হয়।