গণবাণী ডট কম:
আগামী ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে প্রাথমিক টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার এই কার্যক্রম ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ২৭ জানুয়ারি প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান এর আগে ২০শে জানুয়ারি একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন ” প্রথমদিন ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে ২০-২৫ জনকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে কর্মসূচী শুরু করা হবে। প্রথমে টিকা দেয়া হবে একজন নার্সকে”।
ভারত থেকে শুভেচ্ছা হিসাবে পাঠানো ২০ লাখ ডোজ টিকা গত বৃহস্পতিবার গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি ২৫শে জানুয়ারি ভারত থেকে কেনা ৫০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসবে।
অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের কোভিশিল্ড নামের টিকাটি ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট তৈরি করছে। বাংলাদেশ সেই প্রতিষ্ঠান থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য চুক্তি করেছে।
পরবর্তী কয়েকদিনে ঢাকার চারটি হাসপাতালে পরীক্ষামূলক হিসাবে ৪০০-৫০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা প্রয়োগ করা হবে। এই হাসপাতালগুলো হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী আটই ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এর আগে স্বাস্থ্য সচিব মোঃ আবদুল মান্নান বলেছেন, প্রথম মাসে ৬০ লক্ষ টিকা দেয়া হবে। পরের মাসে দেয়া হবে ৫০ লাখ। তৃতীয় মাসে আবার ৬০ লাখ টিকা দেয়া হবে।
প্রথম মাসে যারা টিকা নেবেন, তারা তৃতীয় মাসে আবার দ্বিতীয় ডোজ নেবেন।
টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হবে ২৬শে জানুয়ারি থেকে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
শুরুতে ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে টিকাদান শুরুর পরিকল্পনা হলেও টিকা আগে পাওয়ায় প্রয়োগের সময়ও এগিয়ে আনা হল। গেল বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের মুম্বাই থেকে টিকাবাহী একটি বিমান ঢাকায় আসে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেয় ভারত সরকার।
ভারতে এই টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তেমন দেখা না গেলেও সতর্কতা হিসেবে শুরুতে ৪০০-৫০০ জনকে দিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখতে চায় সরকার।