গণবাণী ডট কম:
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার সকালে গ্রেফতার হওয়ার পর আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। শুক্রবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম তার জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনে মুক্ত হওয়ায় এখন তিনি বাবার জানাজায় অংশ নিতে পারবেন।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ডিবির গুলশান বিভাগের একটি দল গ্রেফতার করে।
ডিবির অতিরিক্ত উপ কমিশনার গোলাম সাকলায়েন বলেন, এক্সিম ব্যাংকের করা একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এই মামলার অপর আসামি রন হক সিকদারের ভাই দিপু হক সিকদার দেশে ফেরেননি।
পরে দুপুর আড়াইটার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের এসআই রিপন উদ্দিন আসামি রন হককে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। রন হকের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। বিকেলে আদালতে জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দীন খান হিরণ জানান, “পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় আগামী ১০ই মার্চ পর্যন্ত রন হক সিকদারের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।”
গত বুধবার সিকদার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও গ্রেফতার হওয়া রন হক সিকদারের বাবা জয়নুল হক সিকদার মারা যান। বাবার মৃত্যুর কারণে থাইল্যান্ড থেকে ঢাকায় আসেন রন হক সিকদার। একটি হত্যাচেষ্টার মামলার আসামি হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
গত ১৯ মে এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সিকদার গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ মে রন ও দিপু এক্সিম ব্যাংকের এমডি মুহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া ও অতিরিক্ত এমডি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসনেকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে বন্দি করে রাখা হয়। তাদেরকে নির্যাতন করা হয়েছে, গুলি করে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। পরে সাদা কাগজে সই নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সিকদার গ্রুপ ব্যাংকটির কাছে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব দিলে এর বিপরীতে গ্রুপের বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনে যান ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা। সেসময় এ ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে ২৫ মে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে আরোপিত বিধিনিষেধের মধ্যেই গুরুতর অসুস্থ হওয়ার কথা বলে চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক চলে যান। এরপর জুলাই মাসে সেখান থেকে তারা আগাম জামিনের আবেদন করেন। ‘বিধিবহির্ভূতভাবে জামিন আবেদন’ করার কারণে সিকদার গ্রুপের মালিক দুই ভাইকে ১০ হাজার পিপিই জরিমানা করে হাইকোর্টের একটি ভার্চুয়াল বেঞ্চ। পিপিইগুলো প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।