গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরে বিশ্ব মহামারি করোনার ক্রমবর্ধমাণ সংক্রমণের লাগাম টানতে সরকারের ১৮ দফা নির্শেশনা বাস্তবায়নে জনসচেনতা বৃদ্ধি কল্পে এবং জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। আজ বুধবার (৩১ মার্চ) এ লক্ষে জেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক ৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার ত্রিমোহিনী বাজার ও ঘাগটিয়া চালা বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা: ইসমত আরা।
এসময় করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ এবং বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করার উপর জোর দেয়া হয়। এসময় সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে মাস্ক পরিধান না করায় সংক্রমণ রোগ, প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ১২ জনকে ৪ হাজার ১শ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া, গাজীপুর মহানগরীর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান।
এসময় তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, এলোমেলোভাবে এ্যাম্বুলেন্স রাখা ও মুমূর্ষু রোগীদের পরিবহণে নানারকম হয়রানিমুলক কর্মকাণ্ডের তথ্য পাওয়া যায়। এ্যাম্বুলেন্স চালকগণের মাস্ক পরার উপর জোর তাগিদ দেওয়া হয়। এসময় পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং এর কারণে সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারায় কয়েক জনকে অর্থদন্ড করা হয়।
এছাড়া জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের মাস্ক পরার বিষয়ে জন সাধারণকে উৎসাহিত করা ও নিশ্চিত করা হয়। স্টেশন মাস্টারদের মাস্কবিহীন যাত্রীদের নিকট টিকিট বিক্রি না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। স্টেশনে যাত্রী সাধারণের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়। এসময় মাস্ক পরিধান না করার কারণে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) আইন, ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারায় কয়েক জনকে অর্থদন্ড করা হয়। উভয় স্থানে মোট ৯ জনকে ৩ হাজার ২শ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া, একদিনে গাজীপুর জেলার সদর উপজেলার আমতলী ও মহানরগীল হাড়িনাল এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী।
এসময় নির্ধারিত পণ্যের ক্ষেত্রে পাটের মোড়ক ব্যবহার না করায় পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ এর ৪ ধারা লংঘনের দায়ে ৩টি মামলায় ৩ জনকে, সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে মাস্ক পরিধান না করায় দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারায় ১টি মামলায় ১জনকে, বিধিতে উল্লিখিত সকল সনদ না থাকা সত্ত্বেও পেট্রলিয়াম প্রোডাক্ট বিক্রি করায় পেট্রোলিয়াম আইন, ২০১৬ এর ৪(ক) ধারায় ১টি মামলায় ১জনকে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত সামগ্রী (বেসন) মজুদ রাখায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১টি মামলায় ১জনকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এসময় নিয়ম মোতাবেক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মজুদ রাখা খাদ্য প্রস্তুত সামগ্রী জব্দ করে ঘটনাস্থলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে বিনষ্ট করা হয়ে। এখানে মোট ৬টি মামলায় ১৩ হাজার ৫৫০টাকা অর্থদন্ড করা হয়।