গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এক কারারক্ষী ভিতরে প্রবেশের সময় সন্দেহ হলে সহকর্মীরা তাকে তল্লাশী করে। এসময় উক্ত কারারক্ষীর কাছ থেকে ৩২৮পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে আটক করে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ।
আটক কারারক্ষীর নাম পিন্টু মিয়া (৩০)। তিনি ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার গারাইল গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে।তার কারা নং-১৪০৯০। তিনি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ এ কারারক্ষী হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর জেলার রিতেশ চাকমা জানান, কারারক্ষী পিন্টু মিয়া বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বাহির থেকে কারাগারে প্রবেশ করার জন্য কারাগারের প্রধান ফটকে আসেন। এসময় পিন্টু মিয়ার আচরণে চেক পোষ্টের কারারক্ষী আতিকুর রহমানের সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে আরপি গেটের কারারক্ষীরা তাকে তল্লাশি করে। এসময় পিন্টু মিয়ার প্যান্টের ডান পাশের পকেট থেকে ৩২৮পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি কারা কর্তপক্ষকে জানালে তাকে আটক করে উদ্ধার ইয়াবাসহ জিএমপির কোনাবাড়ী থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরো জানান, পিন্টু মিয়া তিন বছর ধরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ কারারক্ষী পদে চাকুরি করছেন। এর আগে তিনি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে কারারক্ষী ছিলেন। হাইসিকিউরিটি কারাগারে থাকাকালেও পিন্টু মিয়া গাঁজা সরবরাহের অভিযোগে একবার সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন।
জিএমপি কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার পিন্টু মিয়া কাশিমপুর কারাগারে প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করার সময় সেখানে দায়িত্বরত কারারক্ষী সন্দেহ হলে পিন্টুর দেহ তল্লাশী করেন এবং তার সঙ্গে ৩২৮পিচ ইয়াবা টেবলেট পান। পরে পিন্টু মিয়াকে কারা হেফাজতে আটক রেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ গিয়ে ইয়াবাগুলো জব্দ করে আটক পিন্টু মিয়াকে থানায় নিয়ে আসে। এবিষয়ে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার কারারক্ষী পিন্টু মিয়াকে আদালতে পাঠানো হবে।