গণবাণী ডট কম:
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিন শুক্রবার ইজতেমা ময়দানে দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এই নামাজে ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লি ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার মুসল্লীগণ অংশ নিবেন। জুম্মার নামাজে অংশগ্রহণকারী লাখ লাখ মুসল্লির চলাচলের সুবিধার কথা বিবেচনা করে আগামীকাল শুক্রবার গাজীপুরের তিনটি মহাসড়কে ও সড়কে যান চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গাজীপুর মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইজতেমা ময়দানের দুইপাশের ৩টি সড়ক হয়ে কোনো পণ্যবাহী গাড়ি ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি সীমিত আকারে চলবে যাত্রীবাহী বাস।
আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বিধিনিষেধ চলবে শুক্রবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত। তবে ইজতেমার মুসল্লি বহনকারী যান বা ব্যক্তিগত গাড়ি এই বিধি নিষেধের বাইরে থাকবে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সড়ক তিনটি হলো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস থেকে রাজধানীর আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত, টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের মিরের বাজার থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত এবং রাজধানী ঢাকার কামারপাড়া থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড পর্যন্ত।
গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার মো: আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টঙ্গীর আশপাশ এলাকায় প্রচুর মুসল্লি বেড়েছে। তাঁদের কেউ কেউ ইজতেমা মাঠে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন। অনেক মুসুল্লি সড়কে চলাচল করছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের দিন। এদিন আরও বেশি লোকসমাগম হবে। তাই তাঁদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মো. আলমগীর হোসেন বলেন, কিছু যাত্রীবাহী বাস সীমিত আকারে চলতে দেওয়া হবে। অর্থাৎ যেগুলো না চললে নয়। কিন্তু রাত থেকে এসব সড়কে সব পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। এসব গাড়ি বিভিন্ন পথে ডাইভারশন করে (ঘুরিয়ে) ঢাকায় পাঠানো হবে। তবে ব্যক্তিগত গাড়ি বা ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।
বিমানবন্দর থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কের ক্ষেত্রে একই সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার নাবিদ কামাল শৈবাল। তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সড়কটুকুতে যান চলাচল সীমিত করেছি। কাল অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
টঙ্গীর তুরাগপাড়ে ইজতেমা ঘিরে মুসল্লিদের ভিড় বাড়ায় আজ সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর থেকে টঙ্গীর কলেজ গেট, কামারপাড়া-টঙ্গী স্টেশন রোড এবং টঙ্গী ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে মিরের বাজার পর্যন্ত থেমে থেমে যানজট দেখা যায়। এতে অনেকে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন।
যানজটের বিষয়ে উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, মুসল্লিদের প্রচুর ভিড় বাড়ায় সকালে কিছুটা সমস্যা ছিল। তবে দুপুরের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।