গণবাণী ডট কম:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর ও তার সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলায় আহত ধানমণ্ডির চার্টার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র তুহিন ফারাবী শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকরা তার লাইফ সাপোর্ট খুলে নিয়েছেন।
সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. ড. এ কে এম নাসিরউদ্দিন।
তিনি জানান, গতকাল ফারাবীর শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা ছিল বলে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়েছিল। এখন সে আগের চেয়ে অনেক ভালোভাবে শ্বাস নিতে পারছে। হামলায় আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরকে কেবিনে নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান সোমবার গণমাধ্যমকে জানান, সকাল ৮টার দিকে তুহিন ফারাবী চোখ মেলেছিলেন। কিছুক্ষণ পর আবার চোখ বন্ধ করেন।
এর আগে রবিবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত ডাকসু কার্যালয়ে ভিপি নুরের কক্ষে ও ভবনের সামনে এই বর্বর হামলা চালানো হয়। ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শতাধিক নেতাকর্মী নুরের কক্ষে ঢুকে লাইট বন্ধ করে হাতুড়ি, রড, লাঠি ও বাঁশ নিয়ে হামলা চালায়। পিটুনির একপর্যায়ে ভিপি নুর জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে দেখা গেছে। এছাড়া একজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় ডাকসু ভবনের কাচ ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। পরে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানীকে আহতদের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভিপি নুর বেঁচে আছেন না মারা গেছেন, তা বিবেচ্য নয়।’
হামলায় আহতরা হলেন : বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান, রাশেদ খান, মশিউর রহমান, নাজমুল, মামুন, এ পি এম সুহেল, জাহিদ, বিপ্লব, সোহেল, ইমরান, আরিফ, সুমন, আমিনুল, মেহেদী, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। আহতরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেন।
এদিকে হামলায় ছাত্রলীগের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোনো কর্মী হামলার সময় ছিল না। মধুর ক্যান্টিন থেকে কিছু উৎসুক ছেলে সেখানে গিয়েছিল।