বিশেষ প্রতিনিধি, শ্রীপুর (গাজীপুর) :
গাজীপুরের শ্রীপুরে আপন চাচা মুখ বেঁধে সাড়ে চার বছরের এক শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। নির্যাতনে শিশু মেয়েটির যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথ ছিঁড়ে গেছে। গুরুতর অবস্থায় মেয়েটিকে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। মেয়েটির বাড়ি পাশের একটি গ্রামে। শিশু মেয়েটির মা-বাবা দুজনই পাশের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। ধর্ষণকারী (১৮) একজন বখাটে যুবক। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নির্যাতনের শিকার শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ধর্ষককে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
স্বজনরা জানায়, প্রতিদিনের মতো গতকালও স্বজনদের কাছে শিশুটিকে রেখে কর্মস্থল যায় তার মা-বাবা। দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির উঠানে খেলছিল শিশুটি। ওই সময় শিশুটির চাচা চকোলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে তাকে কোলে নিয়ে বাইরে যায়। ঘণ্টা খানেক পরও ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে তারা। ওই সময় শিশুসহ তার চাচারও কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না।
শিশুর বাবা আরো জানান, তাঁর মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না জেনে তিনিসহ তাঁর স্ত্রী কর্মস্থল থেকে দুপুরেই বাড়ি ছুটে যান। ব্যাপক খোঁজাখুঁজির পর দুপুর ২টার দিকে পাশের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে একটি সেতুর কাছে ঝোপের ভেতর পাওয়া যায় তাদের। ওই সময় বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁর মেয়ের মুখ বাঁধা ছিল। তাঁকে দেখে তাঁর ছোট ভাই ছুটে পালিয়ে যায়।
শিশুটির বাবা জানান, রক্তাক্ত অজ্ঞান অবস্থায় তাঁর মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখান থেকে তাকে (শিশু) গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর মেয়ের সংজ্ঞা ফিরেছে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, নির্যাতনে তাঁর মেয়ের যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথ ছিঁড়ে গেছে।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুল ইসলাম মঙ্গলবার রাত ১২টায় বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক পলাতক রয়েছে। তাকে (ধর্ষক) আটকের জন্য সম্ভাব্যস্থানগুলোতে অভিযান চলছে।’