গণবাণী ডট কম:
গাজীপুরের শ্রীপুরে বৃহস্পতিবার নিখোঁজ এক স্কুল ছাত্রের লাশ নির্মাণাধীন একটি কারখানার বালুর নীচ থেকে শুক্রবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম জাহিদ হাসান দুর্জয় (১১)। সে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বিধায় গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে। দুর্জয় স্থানীয় তেলিহাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
নিহতের স্বজনরা ও পুলিশ জানায়, জাহিদ বৃহস্পতিবার বিকেলে খেলার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে সন্ধ্যায় সে বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করা হয়। পরে জাহিদের সন্ধান চেয়ে আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন মসজিদ থেকে মাইকিং করা হয়। অনেক খুঁজেও বৃহস্পতিবার রাতে জাহিদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরের দিন শুক্রবার সকালে জাহিদের দাদী কমলা খাতুন ও বাবা আকতার হোসেন বাড়ির পার্শ্ববর্তী নির্মানাধীন একটি কারখানার (চায়না প্রজেক্টের) সীমানা প্রাচীরের ভেতর বালুর নীচে পুঁতে রাখা জাহিদের লাশ দেখতে পান। লাশটির মুখের অংশ ছাড়া দেহের পুরো অংশই বালুতে পোঁতা ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে শুক্রবার দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নিহতের বাবা আকতার হোসেনের দাবী শিশু সন্তান জাহিদকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বালিতে পুঁতে রাখে হত্যাকারীরা।
শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, শিশু জাহিদ হত্যার রহস্য উদঘাটনে পিবিআই’র ইন্সপেক্টর মাহমুদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ করছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ১১ মাস আগে জাহিদের মা স্বামী ও সন্তান রেখে তার চাচাতো দেবরকে ভালবেসে বিয়ে করেন। এনিয়ে তাদের মাঝে পারিবারিক বিরোধ চলছে।