গণবাণী ডট কম:
ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে বিচারকার্য পরিচালনা করতে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে সুনির্দিষ্ট বিচারিক এখতিয়ার দিয়ে তিনটি বেঞ্চ গঠন করে দেয়া হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত আজ এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “দেশব্যাপী করোনাভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ মোকাবেলা ও শারিরীক উপস্থিতিতে ব্যতিরেকে সাধারণ ছুটিকালীন ও হাইকোর্ট অবকাশকালীন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ” আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০” এবং অত্র কোর্ট কর্তৃক জারীকৃত প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করত: তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন। ”
বেঞ্চ তিনটি হলো- বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের একটি বেঞ্চ। এখানে অতি জরুরি সকল প্রকার রিট ও দেওয়ানি মোশন এবং এ সংক্রান্ত আবেদনপত্র গ্রহণ করবেন। বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চে অতি জরুরি সব ধরনের ফৌজদারি মোশন এবং ওই সংক্রান্ত জামিনের আবেদন নেয়া হবে এবং বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চে আদিম অধিক্ষেত্রাধীন বিষয়সহ অন্যান্য মামলার আপিল শুনানি ও আবেদনপত্র গ্রহণ করবেন।
এদিকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আইনজীবীরা কিভাবে মামলা দায়ের ও শুনানিতে অংশ নেবেন সে লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক জারি করা হয়েছে ১৪ দফা ব্যবহারিক নির্দেশনা। রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফুল কোর্ট সভায় ওই নির্দেশনাসমূহ অনুমোদনের পর জারি করা হয়। সভায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন।
উল্লেখযোগ্য নির্দেশনা:
নির্দেশনার আলোকে আইনজীবীরা মামলার আবেদন ও নথিপত্র ই-মেইলের মাধ্যমে দাখিল করবেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ অফিসারের ই-মেইলে প্রেরিত মামলার সকল নথিপত্রের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হলে তার জন্য দায়ী হবেন মামলার ফাইলিং লইয়ার। মামলার গুরুত্ব অনুযায়ী শুনানির দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দেবেন বিচারক। মামলার আবেদন ও দাখিলকৃত নথির একটি প্রিন্ট কপি সংরক্ষণ করতে হবে। যেসব মামলার শুনানি হবে তার একটি অনলাইন কার্যতালিকা থাকবে। যেদিন শুনানি হবে সেদিন মামলার সকল পক্ষের আইনজীবীরা সশরীরে নয়, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নিবে। বিচারক ও আইনজীবীকে যথাযথ পোশাক পরিধান করতে হবে। শুনানির পর মামলার রায় বা আদেশের অনুলিপির স্ক্যান কপি ই-মেইলে পাবেন আইনজীবীরা। ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে বিচারকাজ পরিচালনার সকল নির্দেশনা সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে দেয়া হয়েছে। খবর : বাসস।