নিজস্ব প্রতিবেদক, গণবাণী ডট কম, কাপাসিয়া:
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় আরো ১৪ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলায় মোট পজিটিভ হলেন ১২৭ জন। যদিও তাদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ৭৫ জন সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। উপজেলায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন।
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা থেকে ৩১ মার্চ করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য সন্দেহজনক ১০৮ জনের নমুনা পাঠানো হয়। মঙ্গলবার প্রাপ্ত ফলাফলে তাদের মধ্যে থেকে ১৪ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। পজিটিভ হওয়াদের মধ্যে উপজেলায় কর্মরত প্রথম সারির একজন সরকারি কর্মকর্তার গাড়ী চালকও রয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলায় সর্বমোট ১ হাজার ৪২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৭ জন পজিটিভ হিসাবে শনাক্ত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জনসংখ্যা ও করোনা সংক্রমণের হার অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন এলাকাকে রেড, ইয়োলো ও গ্রিণ জোনে ভাগ করে লক ডাউনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাপাসিয়া উপজেলাকে রেড, ইয়োলো ও গ্রিণ জোনে ভাগ করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলায় রেড জোনে থাকা এলাকায় সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে যে কোন সময় লক ডাউন করা হতে পারে।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা: আব্দুস সালাম সরকার জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জনসংখ্যা ও আক্রান্তের হার অনুযায়ী কাপাসিয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়নকে রেড, ইয়োলো ও গ্রিণ জোনে ভাগ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, জনসংখ্যা ও আক্রান্তের হার অনুযায়ী উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। রেড জোনের ইউনিয়ন গুলো হলো: কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন, তরগাও ইউনিয়ন ও দূর্গাপুর ইউনিয়ন।
উপজেলার ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত ইউনিয়ন গুলো হলো : সিংহশ্রী ইউনিয়ন, টোক ইউনিয়ন, সনমানিয়া ইউনিয়ন, কড়িহাতা ইউনিয়ন ও চাঁদপুর ইউনিয়ন।
এছাড়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়ন, বারিষাব ইউনিয়ন ও ঘাগুটিয়া ইউনিয়নে সংক্রমণ কম থাকায় গ্রিণ জোন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
তিনি জানান, উপজেলায় রেড জোনে থাকা এলাকায় সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে যে কোন সময় লক ডাউন করা হতে পারে।