গণবাণী ডট কম:
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, এক সপ্তাহের এই ‘লকডাউন’ সোম অথবা মঙ্গলবার শুরু হতে পারে। তবে, এখনই চূড়ান্ত দিন তারিখের কথা উল্লেখ করেননি তিনি। তিনি বলছেন, জনগনকে প্রস্তুতি নেবার সুযোগ দেয়া হবে।
আজ শনিবার (৩ এপ্রিল) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বৃটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে এসব কথা বলেছেন।
তবে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বরাত দিয়ে ঢাকার গনমাধ্যমগুলো বলছে, সোমবার শুরু হবে ‘লকডাউন’।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার স্বার্থে সরকার দুই-তিন দিনের মধ্যে সারাদেশে লকডাউনের যে ঘোষণা দিতে যাচ্ছে তা কিভাবে বাস্তবায়ন হবে তা বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
তবে ফরহাদ হোসেন জানাচ্ছেন, লকডাউন চলাকালে জরুরি সেবা প্রদানকারী যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান, সে সমস্ত প্রতিষ্ঠান সমূহ খোলা থাকবে। আর শিল্প কলকারখানা খোলা থাকবে। যাতে করে শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং বিভিন্ন শিফটিংয়ের মাধ্যমে কাজ করতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, লক ডাউনের মুখ্য উদ্দেশ্য হবে অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা ও সভা-সমাবেশ বন্ধ রাখা। যদি কোনো মানুষ তার গন্তব্যে পৌঁছাতে চায় সে ক্ষেত্রে কিছুটা সময় দিয়ে লক ডাউন কার্যকর করার চিন্তা চলছে।
তিনি আরও জানান, সীমিত পরিসরে সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো রোসটার মেনে চলবে। আন্তঃজেলা, আন্তঃথানায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এসময় তিনি বলেন, সপ্তাহ খানেক লকডাউন মেনে চললে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
লকডাউনের বিষয়ে আজ রাতে অথবা আগামীকাল রবিবার প্রজ্ঞাপনে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সরকার বলছে, করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় ঢেউ সামলানোর জন্য এটা করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে যে সংখ্যায় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তাতে করে প্রতিদিনই শণাক্তের আগের সর্বোচ্চ সংখ্যা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে জানানো হয় ২৪ ঘণ্টায় ২৯,৩৩৯ টি নমুনা পরীক্ষায় ৬,৮৩০ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে।
পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩.২৮ শতাংশ।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ১৮দফা নির্দেশনা দেয় ।
ইতিমধ্যে দেশের সব পর্যটন কেন্দ্র গুলো ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে এর আগে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে লক ডাউনের আদলে সাধারণ ছুটি চলেছে গত বছর। তবে ২৬শে মার্চ ২০২০ সালে শুরু হওয়া
দেশজুড়ে ‘সাধারণ ছুটি’ দেয়ার আগ পর্যন্ত আক্রান্ত বাড়ি, প্রয়োজনে জেলা-উপজেলা ইত্যাদি লকডাউন করা হয়েছিল।
২০২০ সালের ১৮ই এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ২৯টি জেলা সম্পূর্ণ এবং ১৯টি জেলা আংশিকভাবে লকডাউন করা হয়েছিল।